অভিজ্ঞ পার্লামেন্টেরিয়ান হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর ৬৩ তম জন্মদিন আজ
২০,জুলাই,সোমবার,নিজস্ব প্রতিবেদক,নিউজ একাত্তর ডট কম: পটিয়ার মাটি ও মানুষের নেতা জাতীয় সংসদের সরকার দলীয় হুইপ কর্মবীর আলহাজ্ব সামশুল হক চৌধুরীর আজ ৬৩ তম জম্মদিন।
জনদরদী, সদা হাস্যোজ্জ্বল,বর্ষীয়ান রাজনীতিক ও সমাজ সেবক সামশুল হক চৌধুরী ১৯৫৭ সালের ২০ জুলাইয়ের এদিনে চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী রশিদাবাদ গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জম্ম গ্রহন করেন।
পিতা মরহুম আলহাজ্ব নুরুল করিম চৌধুরী ও মাতা মরহুমা ছপুরা করিম চৌধুরীর জ্যেষ্ঠ সন্তান আলহাজ্ব সামশুল হক চৌধুরী বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের টিকেটে নৌকা প্রতীক নিয়ে ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে পর পর ৩বার বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সংসদীয় আসন-২৮৯, চট্টগ্রাম-১১/১২ সংসদীয় আসন থেকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন। পটিয়া আসন থেকে আওয়ামী লীগের হয়ে তাঁর হ্যাট্রিক বিজয় এক অনন্য ইতিহাস।
গত নির্বাচনে সরকার গঠনের পর প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে মন্ত্রী পদমর্যাদায় জাতীয় সংসদে হুইপ মনোনীত করেন।
বর্নাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারি সামশুল হক চৌধুরী ছাত্রজীবনেই রাজনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে জড়িত হয়ে পড়েন। চট্টগ্রাম সরকারি কমার্স কলেজে পড়ার সময় তিনি ছাত্রসংসদের নির্বাচিত এজিএস ও কলেজ শাখার ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন। একজন ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে তাঁর সুনাম ও সুখ্যাতি দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশেও ছড়িয়ে আছে।
তিনি ১৯৮৮ সালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন আলকরণ ওয়ার্ড থেকে কমিশনার নির্বাচিত হন।
১৯৯৬ সালে তিনি দেশের আধুনিক ক্রীড়ার জনক হিসেবে পরিচিত শেখ কামাল প্রতিষ্ঠিত চট্টগ্রাম আবাহনী লিমিটেড এর মহাসচিব নির্বাচিত হন এছাড়া কেন্দ্রিয় শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রেরও তিনি অন্যতম প্রধান পৃষ্ঠপোষক।
১৯৮৯ সালে তিনি চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন আইন-শৃংখলা উন্নয়ন পরিষদের মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব, মা ও শিশু হাপাতালসহ বহু শিক্ষা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষক ও দাতা সদস্য।
আশির দশকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন সাধারণ কর্মী হিসেবে যে রাজনৈতিক জীবনের সূচনা করেছিলেন আজ সে সংগঠন থেকে নির্বাচিত পার্লামেন্টের একজন গর্বিত মেম্বার এবং একই সাথে সংসদীয় কমিটির প্রভাবশালী নীতি নির্ধারক ।
সরকার ও সংসদের প্রতিনিধি হিসেবে তিনি একাধিকবার বিশ্বের বিভিন্ন দেশ সফর করেন।
২০০৯ সাল থেকে বিগত প্রায় ১১ বছর আলহাজ্ব সামশুল হক চৌধুরী পটিয়ার উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা পালন করেন। উপজেলায় এমন কোন শিক্ষা, সামাজিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নেই যেখানে তার অনুদান ও সহযোগিতায় উন্নয়ন হয়নি।
একজন দানশীল ও উদার মনের মানুষ হিসেবে তিনি নিজ দলের কাছে যেমন জনপ্রিয় তেমনি তাঁর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরাও তাঁর চিন্তা-চেতনা ও কর্মের প্রশংসা এবং অনুসরণ-অনুকরণ করেন।
সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবার আগে তিনি যেমন পটিয়ার মানুষের সেবা করার লক্ষ্যে প্রতিটি অলি-গলি, পাড়া-মহল্লায় ঘুরে ঘুরে জনগনের দু:খ-দুর্দশার খবর নিতেন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবার পরও সে ধারা অব্যহত রেখেছেন ।
পটিয়ার মানুষের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, ক্রীড়া, বিদ্যুতায়ন, আশ্রয়ন ও কর্মসংস্থানসহ সার্বিক উন্নয়নের যে মডেল স্থাপন করেছেন তা দেশের অন্যান্য এলাকার জন্য অনুকরনীয় হয়ে থাকবে ।
সংসদ অধিবেশনের দিনগুলো ছাড়া বাকি সময় তিনি পটিয়ার মানুষের সাথেই কাটান। তিনি বলেন, মাছ যেমন পানি ছাড়া থাকতে পারেনা, তেমনি আমিও পটিয়ার মানুষ ছাড়া থাকতে পারিনা”।
বর্ষিয়ান নেতা ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি,পটিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, পটিয়া পৌরসভার মেয়র অধ্যাপক হারুনুর রশিদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আকম সামশুজ্জামান চৌধুরী, তাঁর পিএস হাবিবুল হক চৌধুরী, তরুণ আওয়ামী লীগ নেতা, ঐতিহ্যবাহী আবদুস সোবহান রাহাত আলী উচ্চবিদ্যালয়ের সভাপতি সরোয়ার হায়দার, বিশিষ্ট সমাজ সেবক,তরুন রাজনীতিক মোজাফফরাবাদ স্কুলের সভাপতি গোলাম সারোয়ার চৌধুরী মুরাদ, পটিয়া পৌরসভার কাউন্সিলর গোফরান রানা, যুবলীগ নেতা নুর আলম সিদ্দিকীসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।- পটিয়া নিউজ