মন্ত্রিসভার বৈঠকে রমজানে সময়সূচি নির্ধারণ
0৬এপ্রিল,সোমবার,অনলাইন ডেস্ক,নিউজ একাত্তর ডট কম:আসন্ন রমজান মাসে সব সরকারি, আধা-সরকারি এবং স্বায়ত্বশাসিত ও আধা স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের জন্য অফিস সময় পরিবর্তন করে সকাল ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত করা হয়েছে।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার (৬ এপ্রিল) গণভবনে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ সময়সূচি নির্ধারণ করে দেওয়া হয়।বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকারি অফিস রোববার থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত অফিস চলবে। দুপুর সোয়া ১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত যোহরের নামাজের বিরতি থাকবে। শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকবে।তবে ব্যাংক, বীমা, অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ডাক, রেলওয়ে, হাসপাতাল, রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প প্রতিষ্ঠান, কলকারখানা এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান যাদের সার্ভিস অতি জরুরি তারা তাদের নিজস্ব বিধি বিধান অনুযায়ী জনস্বার্থ বিবেচনা করে অফিসসূচি নির্ধারণ ও অনুসরণ করবে।চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৫ এপ্রিল থেকে রোজা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করে মৎস্য বা মৎস্যপণ্য বাজারজাত করলে সাত বছরের কারাদণ্ড বা পাঁচ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রেখে মৎস্য ও মৎস্যপণ্য (পরিদর্শন ও মাননিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০২০ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার (৬ এপ্রিল) গণভবনে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ আইনের অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম।
এরআগে আইনের খসড়া গত বছরের ১৯ মার্চ মন্ত্রিসভা বৈঠকে উপস্থাপন করা হলে নীতিগতভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়।
আইনে বলা হয়েছে, লাইসেন্স গ্রহণ ছাড়া কোনো ব্যক্তি মৎস্য ও মৎস্যপণ্য রপ্তানি, কারখানা স্থাপন বা প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা করতে পারবে না।
পরিদর্শনকারী কর্মকর্তা পরিদর্শনকালে কারখানা বা স্থাপনার স্বাস্থ্যকর পরিবেশ বজায় না রাখা এবং প্রক্রিয়াজাতকরণে মানের ব্যত্যয় হলে অপরাধীর বিরুদ্ধে অনধিক পাঁচ লাখ টাকা প্রশাসনিক জরিমানা করার বিধান দেওয়া হয়েছে।
কারখানা বা স্থাপনার মালিক নির্ধারিত পদ্ধতিতে কারখানা বা স্থাপনার স্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও স্যানিটারি ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করবেন।
মৎস্য ও মৎস্যপণ্য আমদানি ও রপ্তানি বিধানাবলী নিয়ে বলা হয়, রপ্তানির ক্ষেত্রে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনাপত্তিপত্র গ্রহণ করতে হবে। বিদ্যমান অধ্যাদেশে বর্ণিত অপরাধের শাস্তি হিসেবে ৬ মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড বা ৫ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড নির্ধারণ করা আছে।
প্রস্তাবিত আইনে কারাদণ্ডের মেয়াদ ও জরিমানার পরিমাণ যৌক্তিকভাবে বাড়ানো হয়েছে। কোনো ব্যক্তি রপ্তানি বা অভ্যন্তরীণ বাজারে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করে মৎস্য বা মৎস্যপণ্য বাজারজাত করলে শাস্তি অনধিক সাত বছর (কিন্তু ৫ বছরের নিচে নয়) কারাদণ্ড বা পাঁচ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড নির্ধারণ করা হয়েছে।
দূষিত মাছ বিক্রি করলে অনধিক পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানার বিধান আছে আইনে।
এ আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধের বিচার প্রথম শ্রেণির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা ক্ষেত্রে ম্যাজিস্ট্রেট ছাড়াও মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ এর তফসিলভুক্ত করে বিচারে বিধান করা হয়েছে।
অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের আদেশের বিরদ্ধে সংক্ষুদ্ধ ব্যক্তি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বা সরকারে কাছে প্রশাসনিক আপিল করতে পারবে।
প্রস্তাবিত আইন কার্যকর হলে রপ্তানি বাজার ধরে রাখা এবং নতুন বাজারে অনুপ্রবেশের সুযোগ বাড়বে এবং একই সঙ্গে মানসম্পন্ন মৎস্য ও মৎস্যপণ্য আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাজারে বাজারজাতকরণ নিশ্চিত করা যাবে।
আইন কার্যকরণে সরকার বিধি প্রণয়ন করতে পারবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এছাড়াও বাংলাদেশ রেফারেল ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টস আইন, ২০২০ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।