জনবান্ধব পাহাড়তলী থানার অফিসার ইনচার্জ সদীপ কুমার দাশ
২৬ জানুয়ারী,অনলাইন ডেক্স,(নিউজ একাত্তর ডট কম) চট্টগ্রাম: সেবার ব্রত নিয়ে মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দিতে যোগ দিয়েছেন পুলিশ বাহিনীতে।পুলিশ বাহিনীতে যোগদানের পর সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী ও জঙ্গিবিরোধী অভিযানে ইতিহাসও তৈরি করেছেন। মেধাবী ও চৌকস কর্মকর্তা হিসেবে পারসোনালিটি চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি)সদীপ কুমার দাশ। পেশাদার এ পুলিশ কর্মকর্তা চাকরি জীবনে যেতে চান বহুদূর। এ জন্য মানুষের ভালোবাসা এবং কর্মকান্ডের মাঝে নিজেকে সারাক্ষণ বাঁচিয়ে রাখতে চান।পাহাড়তলী থানার ফেইজবুক থেকে সংগৃহিত।
ব্যক্তিগত জীবনে তিনি আদর্শবান, শতভাগ পেশাদার ও ন্যায়পরায়ণ। সদীপ কুমার দাশ গুরুত্বপূর্ণ অনেক থানায় কর্মরত ছিলেন। কর্মস্থলে সদীপ কুমার দাশ কর্মজীবনের শুরু থেকেই একজন চৌকস কর্মকর্তা। তার কর্মদক্ষতার ছোঁয়া সমৃদ্ধ করেছে পুলিশ বাহিনীকেও। দেশে উগ্রপন্থী তথা জঙ্গিবাদের উত্থানের সময় থেকে এখন পর্যন্ত এ অনন্য অবদান রেখে চলেছেন।
ব্যক্তিগত জীবনে শান্তিপ্রিয় ও বন্ধুসুলভ এ মানুষটি সবসময় ভেবে থাকেন মানুষের কথা। পুলিশ জনগণের বন্ধু পুলিশ কর্মকর্তা সদীপ কুমার দাশ কর্মজীবনে এটিই প্রতীয়মান হয়েছে। একজন দক্ষ ও আদর্শবান পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে তিনি সদাসর্বদা নিরহংকার মানুষ।
কোনো কিছু থেকে শিক্ষা নিয়ে অন্যকে শিক্ষা দেয়ার তার রয়েছে অন্যরকম আগ্রহ। মা, মাটি ও মানুষের টানে পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করা আদর্শ ও মেধাবী পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা হয়।
এ সময় সদীপ কুমার দাশ তার কর্মজীবন, ছাত্রজীবন, বেড়ে ওঠার গল্প শুনিয়েছেন। বলেছেন, পারিবারিকভাবে তিনি খুবই সুখী। মানুষের জন্য কিছু করতে চান। কর্মচাঞ্চল্যতা যে একজন মানুষকে জীবনের জয়জয়কার এনে দিতে পারে এটা তিনি তার এবং গুরুজনদের কর্মকান্ডে উপলব্ধি করতে পেরেছেন।
তিনি বলেন, আমি দক্ষ কি-না তা নিজে বলতে পারব না, আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ, সহকর্মী কিংবা যাদের সঙ্গে কাজ করি তারা ভালো বলতে পারবেন।
আমি শুধু পেশাদারিত্বের সঙ্গে আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব আন্তরিকতার সঙ্গে পালন করার চেষ্টা করছি। ভাবছি আমার দ্বারা যেন কোনো মানুষের ক্ষতি না হয়। এ পুলিশ কর্মকর্তার মতে, পেশাদারিত্ব, কাজের প্রতি আন্তরিকতা এবং মানুষের প্রতি ভালোবাসা নিয়ে নিঃস্বার্থভাবে দায়িত্ব পালন করলে যে কোনো পুলিশ অফিসারই প্রশংসা পাবেন।
তবে শুধু প্রশংসা পাওয়ার জন্য কিছু করা উচিত নয়। প্রশংসা কিংবা তিরস্কার এ দুটিই কাজের মূল্যায়ন। তিক্তকার অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে বলেন, সবচেয়ে বড় তিক্ততা যখন ভালো কোনো উদ্যোগ কিংবা মানুষের জন্য ভালো কিছু করতে গিয়ে চাপের মুখে করতে না পারি।
আর তা শুধু তিক্ততাই নয়, বড় কষ্টেরও বটে। তিনি বলেন, মানুষের কল্যাণ করা পৃথিবীতে সবচেয়ে ভালো কাজ। কোনো অসহায় মানুষের জন্য ভালো কিছু করতে পারা আমার জন্য সবচেয়ে বেশি আনন্দের এবং ভালো লাগার।
আমি সবার অভিযোগ শুনি সমাধানের চেষ্টা করি। বর্তমান সময়ে জঙ্গি প্রসঙ্গে বলেন, আমাদের দেশকে ভালোবাসতে হবে।
প্রত্যেকের একটি কথা মনে রাখতে হবে- বর্তমান সরকার প্রধানের সুযোগ্য নেততৃ আমাদের দেশের সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন হয়েছে । লাখ লাখ মানুষের বেকারত্ব দূর করেছে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে । তাই যে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা রোধে পুলিশ সদা সজাগ রয়েছে।
পুলিশের চাকরি অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং এমনকি সবসময় আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সবকিছু করতে হয় জানিয়ে এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, সব মানুষই কিছু না কিছু আদর্শ মেনে চলে আর তাই-ই করা উচিত। পুলিশ সদস্য হিসেবে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা, রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য এবং পেশার প্রতি সম্মানবোধ আমাকে দায়িত্ব পালনে উদ্বুদ্ধ করে।
আদর্শবান মানুষ যারা প্রবল বাধার মুখেও আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয় না তারা সবাই আমার আদর্শের প্রতীক। পুলিশ হিসেবে দায়িত্ব পালনে সততার বিষয়টি বহুমাত্রিক। অর্পিত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে ইচ্ছাকৃত কোনো বিচ্যুতি, যা কোনো সাধারণ নাগরিককে পুলিশি সেবা থেকে বঞ্চিত করে এর প্রতিটি পর্বই সততার অংশ বলে মনে করেন এ পুলিশ কর্মকর্তা।
এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, কোনো মানুষেরই অহংকার থাকা উচিত নয়। লোভ মানুষের সহজাত প্রবৃত্তির একটি- তবে অতিমাত্রার লোভ মানুষের পতন ঘটায়। যারা নীতি আদর্শ মেনে সরল জীবন-যাপন করেন তারা প্রত্যেকেই আমার অনুসরণীয়।
সদীপ কুমার দাশ বলেন, শুধু আমি নই, সব মানুষের জন্যই পরিবার হল সবচেয়ে বড় বন্ধনস্থল। চাকরি, সম্মান, সামনে এগিয়ে চলা, বেঁচে থাকা এর সব কিছুর পেছনে প্রেরণা জোগায় পরিবার। মানব সভ্যতার মূলমন্ত্র হল ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুন্দর করে গড়ে তোলা এবং পৃথিবীকে বাসযোগ্য করে তোলায় অবদান রাখা।
সভ্যতার সৃষ্টিলগ্ন থেকেই পারিবারিক বন্ধন মানুষকে সুখ ও ভালোবাসা দিয়েছে, প্রেরণা ও সাহস জুগিয়েছে, আশ্রয় ও নিরাপত্তা দিয়েছে আর সভ্যতা এগিয়ে চলেছে অমোঘ নিয়মে, আমিও এ চক্রের বাইরের কেউ নই। সেবার ব্রত নিয়ে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করলে জনগণের আস্থা অর্জন করা সম্ভব হবে ।
মিথ্যা মামলা এবং অপরাধ দমনে পুলিশ ও জনতাকে একযোগে কাজ করতে হবে। তা হলেই সুফলতা আসবে। তিনি ঘুষ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনগণকে সচেতন হওয়ার আহবান জানান।
পুলিশ বিভাগে একজন অনুকরনীয় অনুসরনীয় দৃষ্টান্ত। তিনি যেমন পেশী-শক্তি, অপরাধীদের যম ঠিক তেমনি সাধারণ শান্তি প্রিয় মানুষের বন্ধু ।
মাদকের ভয়াল থাবা ও আগ্রাসন সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, যে দ্রব্য সেবনে বা গ্রহণে মানুষ কিছু সময়ের জন্য বিশেষ প্রতিক্রিয়া অনুভব করে, দৈহিক ও মানসিকভাবে নেশায় আচ্ছন্ন হয় তাকে মাদকদ্রব্য বলে।
আর দৈহিক ও মানসিক উত্তেজক আনন্দানুভূতির এ অস্বাভাবিক অবস্থাই মাদকাশক্তি। এদেশে গাজা, মদ, ফেনসিডিল, হেরোইন,ইনজেকশন, ইয়াবাসহ আরও অনেক জনপ্রিয় মাদক ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
সহজ আনন্দ লাভের বাসনা, মাদকের কুফল সম্পর্কে অজ্ঞতা, প্রতিকূল পারিবারিক পরিবেশ, বন্ধু- বান্ধব ও সঙ্গী সাথীদের প্রভাব, পারিবারিক পরিমন্ডলে মাদকের প্রভাব, কৈশোর ও যৌবনের বেপরোয়া মনোভাব , বেকারত্ব, হতাশা ও আর্থিক অনটন, মনস্তাত্বিক বিশৃংখলা ও মাদকের সহজলভ্যতাই মাদকাসক্তির অন্যতম প্রধান কারণ।
মাদকের অপব্যবহারে ব্যক্তি তো বটেই, পুরো পরিবার, সমাজ এমনকি রাষ্ট্রকেও নানাভাবে ক্ষতির সম্মুখীন করে। পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) সদীপ কুমার দাশ বলেন,সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও আইনের সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমে অপরাধীদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
ভবিষ্যতে এই কর্মবীর অপরাধ দমন ও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখবেন এই কামনা পাহাড়তলী থানার এলেকাবাসি ।সর্বজনস্বীকৃত সৎ, মেধাবী, দেশপ্রেমী, সাহসী, নির্ভীক সদালাপী চৌকস সদীপ কুমার দাশ মত প্রত্যেকেই বিবেক দিয়ে কাজ করলে জাতি সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যেতে বাধ্য ।