চট্টগ্রামে ৯ জন করোনা রোগী শনাক্ত
২৮এপ্রিল,মঙ্গলবার,নিজস্ব প্রতিবেদক,নিউজ একাত্তর ডট কম:এবার পুলিশ, RAB ও চিকিৎসকসহ ৯ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে চট্টগ্রামে। এর বাইরে লক্ষ্মীপুরের একজন করোনা পজিটিভ রোগী পাওয়া গেছে। যথারীতি পুলিশ সদস্য দামপাড়া পুলিশ লাইনের এবং RAB সদস্য পতেঙ্গা কার্যালয়ের। এছাড়া আক্রানত্ম হওয়া চিকিৎসকটি চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের একজন সহকারী অধ্যাপক। চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটে অবসিত বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকসাস ডিজিজ (বিআইটিআইডি) ও ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট ১০০টি নমুনার পরীড়্গায় মোট ১২ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। এরমধ্যে চট্টগ্রাম মহানগরীর ৬ জন, সাতকানিয়ায় দুজন, সীতাকু-ে একজন, বোয়ালখালী একজন ও মিরসরাই একজন আক্রানত্ম হয়েছেন। তবে সাতকানিয়ার দুজন পুরাতন রোগী। দ্বিতীয় দফা পরীড়্গায় পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে।
এদিকে নতুন করে ৯ জন করোনায় আক্রানত্ম হওয়ায় চট্টগ্রামে মোট আক্রানেত্মর সংখ্যা ৬৪ জন হয়েছে। এদের মধ্যে মারা গিয়েছেন পাঁচ জন এবং সুস হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১২ জন।
রিপোর্টের বিষয়ে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বী বলেন, বিআইটিআইডি ও ভেটেরিনারি শেষ ২৪ ঘণ্টায় ১০০ জনের নমুনা পরীক্সাা করা হয়েছে। এরমধ্যে ১২ জনের নমুনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। এই ১২ জনের মধ্যে ১১ জন চট্টগ্রামের ও একজন লক্ষ্মীপুর জেলার।
এদিকে জানা যায়, চট্টগ্রামের ৯ জনের মধ্যে দামপাড়া পুলিশ সদস্য (৩২) একজন, পতেঙ্গা RAB কার্যালয়ের একজন (৪৫), আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালের একজন নারী স্টাফ (৬৫), পাহাড়তলী এলাকার একজন পুরম্নষ (৭০), চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের একজন সহকারী অধ্যাপক (৪৪), দড়্গিণ হালিশহর পুরম্নষ (৪৮), বোয়ালখালী পুরম্নষ (৪৮), মিরসরাই পুরম্নষ (২৩), সীতাকু-ের পোর্ট লিঙ্ক রোড বিএমএ পুরম্নষ (৪৮)। এছাড়া লড়্গীপুর সদর হাসপাতালের একজন (৪৬)।
সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বী বলেন, এরমধ্যে দ্বিতীয় দফায় পজিটিভ হয়েছে সাতকানিয়ার দুই জন। এরা হলেন মোহাম্মদ হোসেন (৫২) ও জাকির হোসেন (১৯)। এরা পুরাতন রোগী। এই দুই রোগী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে সিভিল সার্জন সূত্রে জানা যায়, নতুন আক্রানত্মদের চিকিৎসার জন্য জেনারেল হাসপাতাল কিংবা ফৌজদারহাট হাসপাতালে নিয়ে আসা হবে। একইসাথে তাদের বসবাসরত এলাকাটি লকডাউন করা হবে।
সোমবার ৯ জন শনাক্ত হওয়ায় মোট আক্রানেত্মর সংখ্যা ৬৪ জন হয়েছে। গত রোববার সাত জন ( সাতকানিয়ায় একই পরিবারের ৬ ও দামপাড়া পুলিশ লাইনের একজন) করোনা শনাক্ত হয়েছিল। এছাড়া গত ২৫ এপ্রিল শনিবার হালিশহর নয়াবাজার চুনা ফ্যাক্টরির মোড় ও শানিত্মবাগে দুই জন আক্রানত্ম হয়েছিলেন। এর আগে ২৪ এপ্রিল দামপাড়া পুলিশ লাইন ব্যারাকে একজন পুলিশ সদস্য আক্রানেত্মর আগে ২২ এপ্রিল চট্টগ্রামের লালখান বাজার, বালুচড়া ও ফটিকছড়িতে একজন করে তিনজন, ২১ এপ্রিল চন্দনাইশে একজন আক্রানেত্মর আগে ১৯ এপ্রিল উত্তর কাট্টলী থেকে দুই জন, দামপাড়ার একজন পুলিশ সদস্য ও সাতকানিয়ার একজন ছিল। এছাড়া ১৮ এপ্রিল আক্রানত্ম হওয়া মিরসরাইয়ের নারী সিএমএইচে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ১৭ এপ্রিল পাহাড়তলী থানাধীন শাপলা আবাসিকে একজন মহিলা আক্রানত্ম হয়েছিল। ১৬ এপ্রিল সরাইপাড়ায় আক্রানত্ম হওয়া ব্যক্তি ১৭ এপ্রিল সকালে ফৌজদারহাটে চিকিৎসাধীন অবসয় মারা যান। এছাড়া ১৫ এপ্রিল আক্রানত্ম হওয়া পাঁচজনের দুইজন ছিল দামপাড়ার পুলিশ সদস্য, একজন নিমতলার মহিলা ( যিনি চিকিৎসাধীন অবসয় মারা গিয়েছিলেন), পটিয়া ও আনোয়ারার একজন করে। এছাড়া ১৪ এপ্রিল আক্রানত্ম হওয়া ১১ জনের মধ্যে সাগরিকায় চার জন, পাঁচলাইশে একজন, বোয়ালখালীর একজন, সাতকানিয়ায় পাঁচজন ছিল। ১৩ এপ্রিল সরাইপাড়ায় একজন ও উত্তর কাট্টলীতে একজন আক্রানেত্মর আগে ১২ এপ্রিল রোববার দামপাড়া ট্রাফিক পুলিশের একজন, ফৌজদারহাটের একজন, সাতকানিয়ার দুই জন, পটিয়ার একজন ছিল। গত শনিবার ১১ এপ্রিল পাহাড়তলী সিডিএ মার্কেট এলাকার একজন এবং সাতকানিয়ার একজন ছিল। এছাড়া গত শুক্রবার ১০ এপ্রিল ফিরিঙ্গীবাজার এলাকার কাঠ ব্যবসায়ী এবং পাহাড়তলী অলংকার এলাকার সবজি বিক্রেতা, ৭ এপ্রিল বুধবার সাগরিকা এলাকার একজন গার্মেন্টস চাকুরে, হালিশহর শাপলা আবাসিক এলাকার একজন নারী, সীতাকুন্ডের একজন আক্রানত্ম হয়, ৫ এপ্রিল দামপাড়া এক নম্বর গলির বৃদ্ধের ২৫ বছর বয়সী ছেলে এবং ৩ এপ্রিল দাপমাড়া এক নম্বর গলির ৬৭ বছর বয়সী বৃদ্ধ আক্রানত্ম হন। আক্রানত্মদের মধ্যে এপর্যনত্ম মারা গেছেন পাঁচজন। এরমধ্যে সাতকানিয়ার এক বৃদ্ধ একজন মারা যাওয়ার পর করোনা শনাক্ত হয়েছেন, পটিয়ায় ৬ বছরের এক শিশু মারা গেল, নগরীর সরাইপাড়া লোহারপুল এলাকার এক নারী মারা যাওয়ার পর করোনায় শনাক্ত হয়েছেন, গত ১৫ এপ্রিল নিমতলা এলাকার এক নারী মারা যাওয়ার পর গত ১৭ এপ্রিল মারা গেলো সরাইপাড়ার আক্রানত্ম পুরম্নষটি। এর বাইরে রাজবাড়ী থেকে একজন এসে করোনায় পজিটিভ হয়েছেন মাদারবাড়ি এলাকার একজন এবং করোনা শনাক্ত হওয়ায় ঢাকার হাসপাতাল থেকে পালিয়ে এসেছিলেন চান্দগাঁওয়ের একজন।