চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের বিশেষ অভিযান,গ্রেফতার ৫
১৯ মার্চ ২০১৮ ইং তারিখ বিকাল ১৮.৩০ ঘটিকায় চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার(ডিবি-বন্দর), জনাব মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ (পিপিএম) মহোদয়ের সার্বিক দিক নির্দেশনায় অতিঃ উপ-পুলিশ কমিশনার(ডিবি-পশ্চিম), জনাব এএএম হুমায়ুন কবীর এর নেতৃত্বে সহকারী পুলিশ কমিশনার (ডিবি-পশ্চিম) জনাব মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম, পুলিশ পরিদর্শক জনাব মোহাম্মদ মহসীন পিপিএম, পুলিশ পরিদর্শক জনাব মোহাম্মদ জহির হোসেন পিপিএম, পুলিশ পরিদর্শক জনাব মোঃ কামরুজ্জামান সঙ্গীয় এসআই/মোঃ মোমিনুল হাসান, সঙ্গীয় এসআই(নিঃ)/মোঃ জাকির হোসেন ভূঁইয়া, এএসআই(নিঃ)/সন্তু শীল, এএসআই(নিঃ)/জুলফিকার হোসেন, কং/২৩২৫ ইসমাইল হোসেন, কং/৪০৯৫ মোঃ আরিফ ভূঁইয়া, কং/৩৫৪৫ রেজাউল করিম, কং/৪২২৯ রাজিব বড়য়া, কং/৩৮৭১ মোঃ নাজিম উদ্দিন সহ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বায়েজীদ বোস্তামী থানাধীন ওয়াজেদিয়া মোড় এলাকায় অনন্যা আবাসিক হইতে অক্সিজেনগামী একটি ট্রাক আটক করেন। উক্ত ট্রাক হইতে ট্রাকের মালিক আসামী মিজানুর রহমান (৩৬), চালক কাজী আবুল বাশার (২৫) এবং জসীম উদ্দিন (২৮)দের গ্রেফতার করেন। গ্রেফতার পরবর্তীতে আসামীদের স্বীকারোক্তি এবং ট্রাকের মালিক এর দেখানো মতে ট্রাকের পিছনে নিচে সু-কৌশলে যোগানে বিশেষভাবে তৈরী গোপন বক্স হইতে ৬৩,০০০ হাজার পিস ওজন অনুমান ৬ কেজি ৩০০ গ্রাম ইয়াবা (মূল্য অনুমান ৬৩০০০দ্ধ৩০০=১৮৯০০০০০/- এক কোটি ঊননব্বই লক্ষ টাকা) উদ্ধার করেন। উদ্ধারকৃত বর্ণিত ইয়াবা বান্দরবান হইতে কুমিল্লার নিমসারে নিয়ে যাচ্ছিল। আসামীদের সহযোগী আসামীরা স্কট করিয়া চট্টগ্রাম মহানগরী হইতে গাড়িটি নিমসার নিয়া যাওয়ার জন্য অবস্থান করিতেছে মর্মে জানা যায়। পরবর্তীতে ধৃত আসামীদের স্বীকারোক্তি মতে অভিযান পরিচালনা করিয়া তাহাদের সহযোগী আসামী আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং আবু তাহের কে রাত্র অনুমান ১১.৩০ ঘটিকায় লালদিঘী জেলা পরিষদ ভবনের সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার পরবর্তী জিজ্ঞাসাবাদে আসামীদের দেহ তল্লাশীকালে ট্রাকে বহনকৃত ইয়াবার আংশিক মূল্য পরিশোধের জন্য নগদ ১০,০০,০০০/-(দশ লক্ষ) টাকা উদ্ধারপূর্বক জব্দ করা হয়। আসামী আব্দুল্লাহ আল মামুন ও আবু তাহের ইয়াবা পরিবহনের ট্রাকটি চট্টগ্রাম হইতে গ্রহণ করিয়া স্কট করতঃ কুমিল্লার নিমসার নিয়ে যাওয়া নিমিত্তে চট্টগ্রাম মহানগরী এলাকায় অবস্থান করিতেছে মর্মে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সহযোগীদের গ্রেফতার করা হয়। আসামী ট্রাকের মালিক মিজানুর রহমান বান্দরবান হইতে তাহার সহযোগী পলাতক আসামী দেলোয়ার হোসেন এর কথিত মতে উপজাতি মহিলা থেকে জব্দকৃত ইয়াবা গ্রহণ করে মর্মে জানা যায়। ইতিপূর্বেও গত ১৭/০২/২০১৮ইং তারিখ ৩০,০০০(ত্রিশ হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট পরিবহন করিয়া বর্ণিত ট্রাকযোগে কুমিল্লার নিমশার দেলোয়ার এর নিকট হস্তান্তর করে। বর্ণিত আসামীদের ধৃত পরবর্তী জিজ্ঞাসাবাদে ইয়াবা পরিবহনের আর একটি রুট বান্দরবান বলিয়া জানা যায়। আসামী মিজানুর রহমান নিজেই ট্রাকের মালিক। সে নিজে ব্যবসা করার জন্য ও বিভিন্ন ব্যবসায়ীর ইয়াবা ট্যাবলেট কমিশনের মাধ্যমে ট্রাক ব্যবহার করে বান্দরবান হইতে কুমিল্লা ঢাকা এলাকায় পরিবহন করিত।গ্রেফতারকৃত আসামী ১) মোঃ মিজানুর রহমান(৩৬), পিতা-মৃত আব্দুল মান্নান, মাতা-মোহছনা খাতুন, সাং-আকাবপুর, পূর্বপাড়া, ডাকঘর-জিয়াপুর, মৌলভী বাড়ী, থানা-বুড়িচং, জেলা-কুমিল্লা
২) মোঃ জসিম উদ্দিন(২৮) পিতা- জালাল মিয়া, মাতা-জোৎসা খাতুন, সাং-পশ্চিম সিংহ, দক্ষিণ পাড়া(কাশেম মাষ্টারের বাড়ী), থানা-বুড়িচং, জেলা-কুমিল্লা
৩) কাজী আবুল বাশার(২৫) পিতা-কাজী আব্দুল হাশেম, মাতা-ফরিদা বেগম, সাং-কোরপাই, কাজী বাড়ী, উত্তর এলাকা, থানা-বুড়িচং, জেলা-কুমিল্লা
৪) মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন(৪০), পিতা- মৃত আব্দুল হান্নান, সাং- শাসনগাছা(আব্দুল হান্নান এর বাড়ী), থানা- কোতোয়ালী, জেলা- কুমিল্লা
৫) আবু তাহের(৩৮), পিতা- মৃত আব্দুর রাজ্জাক, মাতা- ছোলেমা, সাং- আকাবপুর(তাহের এর বাড়ী), থানা- বুড়িচং, জেলা- কুমিল্লা
জব্দকৃত আলামত- ০১ (ক) একটি ট্রাক, যাহার রেজিষ্টেশন নাম্বার ঢাকা মেট্রো-ড- ১১-৫৫১১
(খ) ৩১৫টি বায়ুরোধক নীল রংয়ের প্যাকেট, প্রতিটি প্যাকেটে (২০০দ্ধ৩১৫)=৬৩০০০(তেষট্টি হাজার) পিচ এ্যামফেটামিন যুক্ত গোলাপী রংয়ের ইয়াবা ট্যাবলেট, প্রতিটি ট্যাবলেটের গায়ে ইংরেজীতে WYলিখা আছে সর্বমোট ওজন (৬৩০০০দ্ধ০.১)=৬.৩০০ (ছয় কেজি তিনশত গ্রাম) ইয়াবা (মূল্য অনুমান ৬৩০০০দ্ধ৩০০=১৮৯০০০০০/- এক কোটি ঊননব্বই লক্ষ টাকা)
(গ) নগদ ১০,০০,০০০(দশ লক্ষ) টাকা।
গ্রেফতারকৃত আসামী ০৫ জন ও পলাতক আসামী ০২ জনসহ মোট ০৭ জনের বিরুদ্ধে বায়েজীদ বোস্তামী থানার মামলা নং-২৭ তাং-২০/০৩/২০১৮ খ্রিঃ ধারা-১৯৯০ সনের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনের ১৯(১) এর টেবিল ৯(খ)/২৫/৩৩(১) রুজু হয়।প্রেস বিজ্ঞপ্তি