রাজপথে একঝাঁক তারকা নৌকার প্রচারে
বিনোদন ডেস্ক: আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। দেশব্যাপী এখন নির্বাচনের আমেজ।নির্বাচনী ডামাডোলে শামিল হয়েছেন একঝাঁক তারকা শিল্পী। আগামী নির্বাচনে নৌকাকে বিজয়ী করার আহ্বান জনগণের কাছে। নৌকার প্রচারে রুপালি জগতের একঝাঁক তারকার সঙ্গে শামিল নামকরা চিত্রশিল্পী, সঙ্গীতশিল্পী, নাট্যকর্মী, খেলোয়াড়রা।
বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে ঢাকার বিভিন্ন সড়দে কাভার্ডভ্যানে করে নৌকার পক্ষে প্রচারপত্র বিলি করতে নামেন তারা।
নৌকার প্রচারে আজ রাজপথে শামিল ছিলেন জাহিদ হাসান, শাকিল খান, অরুণা বিশ্বাস, বাঁধন, নূতন, শমী কায়সার, রোকেয়া প্রাচী, তানভীন সুইটি, মাহফুজ, তারিন, শামীমা তুষ্টি, এস ডি রুবেল, সায়মন।
তাদের সঙ্গে যোগ দেন স্বনামখ্যাত অভিনেতা সৈয়দ হাসান ইমাম, কবি তারিক সুজাত, এক সময়ের তারকা ফুটবলার সত্যজিৎ দাস রুপুসহ আরো অনেকে।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে নৌকাকে জয়ী করতে তারকাসমৃদ্ধ এই প্রচারাভিযান উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, এই প্রচণ্ড রোদের মধ্যে আপনারা বসে আছেন, এটা একটা চেতনার বিষয়, আদর্শের বিষয়। এই আদর্শ, চেতনা, মূল্যবোধ আপনাদের এখানে বসিয়ে রেখেছে। এতে বোঝা যায়, আগামী নির্বাচনে আমরাই বিজয়ী হব।
নির্বাচনে সাম্প্রদায়িক শক্তিকে পরাভূত করবে সাংস্কৃতিক চেতনা- এই আশাবাদ প্রকাশ করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‌'আজকে শিল্পী, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, ক্রীড়া ব্যক্তিত্বের সবাই বসে আছেন একটি চেতনাকে হৃদয়ে ধারণ করে। আমাদের দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গন এখন মরাগাঙ্গ নয়। সারা দেশের নৌকার যে গণজোয়ার তা আছড়ে পড়ছে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে। নবমুকুটে তারা আবার পরাজিত করবে সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে, আমরাই আবার বিজয়ী হবো।
মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তিকে আবার একাদশ জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে বিজয়ের মাসে পরাজিত করার শপথে প্রচারে নামার আহ্বান জানান তিনি।
একাত্তর সালে আমরা মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তিকে পরাজিত করেছি। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরেও আমরা এই পরাজিত শক্তিকে পরাজিত করার শপথ নিয়েই প্রচার শুরু করব, এই হবে আজকে আমাদের শপথ।'
ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলার মাটিতে আজও সেসব সাম্প্রদায়িক অপশক্তি আছে, তাদের মধ্যে জেনারেল জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে অনেকেই বাই চান্স মুক্তিযোদ্ধা।
একাত্তরের মতো ২০১৮ সালেও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নৌকার জোয়ার উঠেছে বলে দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'সাংস্কৃতিক অঙ্গন আজ জেগে উঠেছে নব জোয়ারে। ১৯৭১ সালের মতো সংস্কৃতি অঙ্গন ২০১৮ সালেও জেগে উঠেছে। আসুন, বিজয়ের মাসে আমরা আরেকটি বিজয় ছিনিয়ে আনি।
বিএনপি শিবিরে ‘গণভাটা’ পড়েছে বলে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, একদিকে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী গণজোয়ার শুরু হয়েছে, আরেক দিকে বিএনপিতে গণভাটা। নির্বাচনের দিন যতই এগুচ্ছে তারা ততই পরাজয়ের দিকে যাচ্ছে।
বক্তব্য শেষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় প্রচারাভিযান শুরু হয়। এই শোভাযাত্রা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি হয়ে, শাহবাগ, বাংলামোটর, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেইট, জাতীয় সংসদ ভবন হয়ে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বর গিয়ে শেষ হয়।
আটটি ট্রাক থেকে দেশের তারকা শিল্পীরা সাধারণ মানুষের কাছে আওয়ামী লীগের প্রচারপত্র বিলি করেন। এতে তুলে ধরা হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের ১০ বছরের উন্নয়নচিত্র।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপ-দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান প্রমুখ।