শিরোনাম
- ৭ মার্চ উপলক্ষে ঠাকুরগাঁওয়ে চিত্রাঙ্কন ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতা
- আজাদীর চীফ রিপোর্টার হাসান আকবরের মা আর নেই
- বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ- চির অম্লান : ন্যাপ
- আইসিএবিতে প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক লিডারশিপ শীর্ষক কর্মশালা
- স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশের উত্তরণে খুশি ভারত
- এইচ এম স্টিলের উৎপাদন কার্যক্রম উদ্বোধন
- কমনওয়েলথের শীর্ষ ৩ অনুপ্রেরণীয় নারী নেতার তালিকায় শেখ হাসিনা
- মেয়রের সাথে চাক্তাই খাতুনগঞ্জ আড়তদার সমিতির মতবিনিময়
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন জয়েই রাঙাল বাংলাদেশ

২০,জানুয়ারী,বুধবার,স্পোর্টস ডেস্ক,নিউজ একাত্তর ডট কম: প্রথম ইনিংসের পরই মোটামুটি ঠিক হয়ে গিয়েছিল ম্যাচের ফলাফল। অভিজ্ঞ সাকিব আল হাসান ও অনভিষিক্ত হাসান মাহমুদের বোলিং তোপে ১২২ রানে গুটিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে সহজ লক্ষ্যে জয় যতটা সহজে আসার কথা ছিল, ঠিক ততটা সহজে পায়নি বাংলাদেশ। মাত্র ১২৩ রানের লক্ষ্য ছুঁতে চার উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ, খেলেছে ৩৩.৫ ওভার। কাগজে-কলমে খর্বশক্তির ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৬ উইকেটের প্রত্যাশিত জয় দিয়েই ক্রিকেটে ফেরাটা রাঙিয়ে রাখল বাংলাদেশ। একইসঙ্গে নতুন বছরের শুরুটাও ইতিবাচকভাবেই করলো তামিম ইকবালের দল। দীর্ঘদিন পর মাঠে ফেরা সাকিব আল হাসানই সবার চেয়ে উজ্জ্বল। প্রথম বল হাতে মাত্র ৮ রানে ৪ উইকেটের পর ব্যাট হাতে করেছেন ১৯ রান। যা দলকে পাইয়ে দিয়েছে সহজ জয়। অথচ ম্যাচের শুরুটা দুর্দান্ত ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারের শেষ বলে সোজা ডিপ স্কয়ার লেগ দিয়ে সীমানার বাইরে পাঠিয়ে দেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সহ-অধিনায়ক সুনিল অ্যামব্রিস। এমন শট দিচ্ছিল সাহসী ব্যাটিংয়ের বার্তা। কিন্তু মোস্তাফিজুর রহমানের করা দ্বিতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলেই থেমে যায় অ্যামব্রিসের যাত্রা। ফিরতে হয় সাজঘরে। খালি চোখে মনে হচ্ছিল, মোস্তাফিজের উইকেট নেয়া ডেলিভারিটি পিচ করেছে লেগস্ট্যাম্পের বাইরে। তবে রিপ্লেতে দেখা গেছে মিডল স্ট্যাম্পেই ছিল সেই বল, যা আঘাত হানত মিডল-লেগ স্ট্যাম্পে। ফলে রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি অ্যামব্রিস। নিজের মাত্র দ্বিতীয় বলেই প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দেন মোস্তাফিজ। যা ছিল মূলত ওয়েস্ট ইন্ডিজের পতনের শুরু। দ্বিতীয় উইকেটও আসে মোস্তাফিজের বোলিংয়ে। এবার গালিতে দাঁড়িয়ে উড়ন্ত ক্যাচ নেন লিটন দাস। মোস্তাফিজের করা ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারের দ্বিতীয় বলে অফস্ট্যাম্পের বাইরের ডেলিভারিটিতে ড্রাইভ করেছিলেন জশুয়া ডা সিলভা। ব্যাটের বাইরের কানায় লেগে বল চলে যায় গালি অঞ্চলে। যেখানে ছিলেন লিটন, ডানদিকে ঝাঁপিয়ে দুই হাতে বলটি তালুবন্দী করে বাজান জশুয়ার বিদায়ঘণ্টা। এরপর শুরু হয় বল হাতে সাকিবের ক্যালমা। আইসিসির এক বছরের নিষেষাজ্ঞা ও করোনাভাইরাসের কারণে বন্ধ থাকার কারণে দীর্ঘ ১৬ মাস পর খেলতে নেমে প্রায় একা হাতেই ক্যারিবীয়দের গুঁড়িয়ে দেন সাকিব। নিজের প্রথম ওভারে অন্তত তিনবার ব্যাটসম্যানের ব্যাটের কানায় বল লাগান সাকিব, সম্ভাবনা জাগান উইকেটের। প্রথম ওভারে উইকেট না পেলেও, পরে সাকিবের ঘূর্ণিতেই কুপোকাত হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথম স্পেলে টানা ৭ ওভার বল করেছেন তিনি। ক্যারিবীয় ইনিংসের ২৩তম ওভারে যখন আক্রমণ থেকে সরানো হয় সাকিবকে, তখন তার নামের পাশে বোলিং ফিগার ৭-২-৮-৩; এই স্পেলে ৩৪টি বলই ছিল ডট। পরে সাকিবের গড়ে দেয়া ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে তিন উইকেট নেন অভিষিক্ত হাসান মাহমুদ, মেহেদি হাসান মিরাজের ঝুলিতে যায় এক উইকেট। ততক্ষণে ৯ উইকেট হারিয়ে ফেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাদের গুটিয়ে দিতে ৩৩তম ওভারে ফের আনা হয় সাকিবকে। দ্বিতীয় বলেই তিনি তুলে নেন ক্যারিবীয়দের শেষ উইকেট। সবমিলিয়ে বোলিং ফিগার দাঁড়ায়ঃ ৭.২-২-৮-৪! ওয়েস্ট ইন্ডিজ গুঁড়িয়ে যায় মাত্র ১২২ রানে। ব্যাটসম্যানরা স্কোরবোর্ডে তেমন বড় সংগ্রহ দিতে না পারলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলাররা ঠিকই নিজেদের উজাড় করে দিয়েছেন। অভিজ্ঞতার বিচারে বাংলাদেশ দলের অনেক পিছিয়ে থাকা এ ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল বল হাতে ঠিকই কঠিন পরীক্ষা নিয়েছে স্বাগতিকদের। যেখানে বেশ কষ্টেই পাস করতে হয়েছে তামিম ইকবাল, লিটন দাসদের। বাংলাদেশের ব্যাটিং ইনিংসের শুরু থেকে টানা ৮ ওভার বোলিং করেন তরুণ পেসার আলঝারি জোসেফ। যেখানে প্রথম ৬ ওভার শেষে তার বোলিং ফিগার ছিল ৬-৩-৭-০। টানা মাপা লাইন-লেন্থে বোলিং করে লিটন-তামিমের নাভিশ্বাস উঠিয়েছেন আলঝারি। একেকটি রানের জন্য সংগ্রাম করতে হয়েছে দুই ওপেনারের। উদ্বোধনী জুটিতে ৪৭ রান করতে শেষ হয় ১৩.২ ওভার। ইনিংসের ১৪তম ওভারে সাজঘরে ফেরেন লিটন। বাঁহাতি স্পিনার আকিল হোসেনের শার্প টার্নে বোকা বনে যান ৩৮ বলে ১৪ রান করা লিটন। এরপর নিজের দশ ওভারের স্পেলের একদম শেষ বলে সাকিবকেও সরাসরি বোল্ড করেন আকিল হোসেন। তার ১০ ওভারের বোলিং ফিগার ছিল এক মেইডেনে ২৬ রানে ৩ উইকেট। মাঝে নাজমুল হোসেন শান্তকেও ফিরিয়েছিলেন আকিল। শান্ত করেন ১ রান। শান্ত, লিটনরা অল্পে ফিরলেও অধিনায়ক তামিম ইকবাল রয়েসয়ে খেলে এগুচ্ছিলেন ব্যক্তিগত ফিফটির দিকে। কিন্তু ৪৪ রানের মাথায় ক্যারিবীয় অধিনায়ক জেসন মোহাম্মদের বলে স্ট্যাম্পিং হন টাইগার অধিনায়ক। তখনও জয় থেকে ৪০ রান দূরে ছিল বাংলাদেশ। পরে দলীয় ১০৫ রানে ফিরে যান সাকিবও। ছোট লক্ষ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে খানিক বিপাকেই পড়ে বাংলাদেশ। পঞ্চম উইকেটে আর বিপদ ঘটতে দেননি মুশফিকুর রহীম ও মাহমুদউল্লাহ। দুজন মিলে দেখেশুনে খেলেই শেষ করেন ম্যাচ। রিভার্স সুইপে চার মেরে ম্যাচ শেষ করেন ১৯ রানের ইনিংস খেলা মুশফিক। মাহমুদউল্লাহ অপরাজিত থাকেন ৯ রানে।
সর্বশেষ সংবাদ
- ৭ মার্চ উপলক্ষে ঠাকুরগাঁওয়ে চিত্রাঙ্কন ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতা
- আজাদীর চীফ রিপোর্টার হাসান আকবরের মা আর নেই
- বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ- চির অম্লান : ন্যাপ
- আইসিএবিতে প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক লিডারশিপ শীর্ষক কর্মশালা
- স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশের উত্তরণে খুশি ভারত
- এইচ এম স্টিলের উৎপাদন কার্যক্রম উদ্বোধন
- কমনওয়েলথের শীর্ষ ৩ অনুপ্রেরণীয় নারী নেতার তালিকায় শেখ হাসিনা
- মেয়রের সাথে চাক্তাই খাতুনগঞ্জ আড়তদার সমিতির মতবিনিময়
খেলাধূলা পাতার আরো খবর
- দুই হারের পর দাপুটে দুই জয়, দারুণভাবে সমতায় ফিরল অস্ট্রেলিয়া
- সেভিয়ার বিপক্ষে শ্বাসরুদ্ধকর জয়ে ফাইনালে বার্সা
- রোনালদোর বিরল রেকর্ডে জয়ে ফিরলো জুভেন্টাস
- জিম্বাবুয়েতে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ
- আইপিএলের ভেন্যু নিয়ে তিন দলের আপত্তি
- মেসির জাদুকরী পারফরম্যান্সে বার্সেলোনার সহজ জয়
- ২ বছর পর দলে ফিরলেন গেইল, ৯ বছর পর অ্যাডওয়ার্ডস
- সব ধরনের ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন ইউসুফ পাঠান
- গাপটিলের ছক্কার রেকর্ডে অজিদের হারাল নিউজিল্যান্ড
- টানা ১৮ ম্যাচ জিতলো ম্যানচেস্টার সিটি
- নিউজিল্যান্ড সফরে বাংলাদেশ দল ঘোষণা
- টিকা নিলেন টাইগাররা, প্রথমে সৌম্য, পরে তামিম