১৭ এপ্রিল ২০২২, অনলাইন ডেস্ক, নিউজ একাত্তর ডট কম :গ্রীষ্মের তাপদাহে দেশের মানুষ হাফিয়ে উঠেছে। এরই মাঝে ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য জেলায় ডায়রিয়া সমস্যাসহ ঋতুকালীন অন্যান্য সমস্যাগুলো বেড়েছে। তবে ডাক্তারগণ বলছেন, এই চেপা গরমে মানবদেহ সুস্থ রাখতে বেশি বেশি পানি, বাদাম ও খেজুর আপনাদের খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন। গরমে অবশ্যই নিজেকে ভাজাপোড়া, অতিরিক্ত তেল, স্বাস্থ্যকর খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। এসকল বিষয় সচেতন হলে নিজেকে সুস্থ রাখা একদম সাদামাটা বিষয়। পর্যাপ্ত পানি পান গরমে সুস্থ থাকতে পর্যাপ্ত পানি পানের বিকল্প নেই। রোজার জন্য সারাদিন পানাহার থেকে বিরত থাকতে হয়। তার ইফতার থেকে শুরু করে সেহেরি পর্যন্ত পর্যাপ্ত পানি পান করুন। একসঙ্গে অনেক পানি পান না করে কিছু সময় পরপর পান করুন। এতে দেহের আর্দ্রতা ঠিক থাকবে। স্যালাইন বা লবণ-চিনির শরবত যারা দীর্ঘসময় বাইরে কাজের প্রয়োজনে থাকেন তারা প্রচুর গরমে থাকেন। ঘামানোর কারণে শরীর থেকে বেরিয়ে যায় পানি। যার সঙ্গে শরীরের দরকারি অনেক উপাদানও বের হয়ে যায়। রোদের প্রভাব থেকে বাঁচতে ইফতারের পর পান করুন এক গ্লাস স্যালাইন। ঘরে স্যালাইন না থাকলে লবণ আর চিনি মিশিয়ে শরবত তৈরি করে খান। এটি দেহে শর্করা, সোডিয়াম ও খনিজ উপাদানের জোগান দেবে। তবে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে এটি এড়িয়ে যাবেন। এক মুঠ বাদাম গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে শরীর হয়ে পড়ে ক্লান্ত। সেই ক্লান্তি দ্রুত দূর করতে ভরসা রাখুন এক মুঠ বাদামে। চিনাবাদাম, কাঠবাদাম কিংবা কাজুবাদাম যা ইচ্ছে খেতে পারেন। বাদাম দীর্ঘসময় পেট ভরা রাখে। শরীরে দ্রুত শক্তি জোগায়। প্রয়োজনীয় প্রোটিন ও ফাইবারের জোগান দেয়। উপকারি খেজুর বেশিরভাগ মুসলিমই ইফতার শুরু করে খেজুর দিয়ে। এই ফলটি কিন্তু ভিটামিনে ভরপুর। এতে থাকা শর্করার কারণে প্রচুর শক্তি পাওয়া যায়। দেহকে হাইড্রেট করতেও সাহায্য করে খেজুর। চিয়া সিডস শস্যবীজ জাতীয় এ খাবারটি পানিশূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে। অনেকে ডায়েটে চিয়া সিডসের শরবত রাখেন। বিভিন্ন পানীয়তে এটি ব্যবহার করা হয়। চিয়া সিডস না থাকলে ইসবগুল, তোকমা বা অ্যালোভেরার শাঁস খেতে পারেন। এগুলোও শরীর ঠাণ্ডা রাখে, পানিশূন্যতা দূর করে। পাতে দই গরমের বন্ধু বলতে পারেন দইকে। শুধু দই খেতে পারেন। চাইলে ভাত বা চিড়ার সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। আবার দই দিয়ে বানাতে পারেন ঘোল বা লাচ্ছি। শরীর ঠাণ্ডা রাখে এই খাবারটি। খাবার হজমেও সাহায্য করে।